গান: গ্রাম ও শহর
কথা ও সুর: মাহফুজ বিল্লাহ শাহী
গ্রাম-১ : এই যে মোগো গেরামে মোরা ভালো আছি
দূষণমুক্ত আলো আর ভেজালমুক্ত হাসি।
শহর-২ : ওই আমাদের শহরে আমরা ভালো আছি
বসুন্ধরা ফ্যান্টাসির আমরা প্রতিবেশী।
শহর-৩ : তোমরা খাও সকালে পেট ভরে পঁচা পান্তা
আমরা কিন্তু নাশতা করি ডিম দিয়ে দুই পরাটা
তোমরা গাও গেরামের আমরা শহরের
আধুনিকতা একটু হলেও আমরা বুঝি বেশি।
গ্রাম-৪ : মোরা খাই খেত পুহুরের সবজি আর তাজা মাছ
তোমরা কি আর দেহো চোহে দাদীর হাতে পিডার সাজ
দেখতে পাও না নাকি কইতে চাও না
কইতে গেলে পাওকি তুমি লাজ শরম খুব বেশি।
শহর-৫ : আমাদের ও নগরে আছে যে অনেক কিছু
দেখতে কি গো যাবে তুমি আমাদের পিছু পিছু
চিড়িয়াখানায় আছে বাঘ হরিণ ছানা
দেখলে তোমার বড়াই মুখে থাকবে না তো হাসি।
গ্রাম-৬ : তোমরাই তো একেক জন চিড়িয়াখানা ভোঁদড়
পলটি লাহান দেহ লইয়া বেলকুনিতে মার দৌড়
তোমরা খাও ঘোল আর ফুইলা হও ঢোল
খাঁটি দুধ ঘি মাখনের গন্ধ শুকেছ কি?
শহর-৭ : ১৬ই ডিসেম্বরে আমাদের ওই ডিসপ্লে
টেলিভিশনে তোমরা দেখ শুধু হা করে
যে খেলা করি আমরা জার্সি প্যান্ট পড়ি
তোমরা এতো রং বেরং এর জার্সি প্যান্ট পড় কি?
গ্রাম-৮ : মোরা যহন ব্যাট ধরি মোগো দাদা বল করে
উইকেট কিপার দাদী মোদের সুইং বল কট ধরে
যৌথ পরিবার মোদের সুখের সম্ভার
তোমরা বেচা কেনা করো বন্ধু প্রেম আর খুশি।
শহর-৯ : শহর না থাকলে কি এত বাড়ি গাড়ি রঙিন
বাতির আলো বিমানের পাখাগুলি দেখা যায়।
গ্রাম-১০ : গ্রাম না থাকলে কি এত সুখের পাখি
রাখাল বাজায় বাঁশি সবুজ মাঠে চাষী দেহা যায়?
শহর-১১ : গ্রামের রাস্তা ঘাট ভাঙা পুল আর কালভার্ট
নির্মাণের ঘোষণা দেয় কারা ওই শহরে থাকে যারা।
গ্রাম ১২ : শহরের উন্নয়ন লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন
বিলাসিতার টাহা আসে কোহার থাইকা
ওই গাও গেরামের লাইগা
এত বিতর্ক লাগে না ভালো
এই বিতর্কের অবসান চাই
তাই যদি হয় তবে সবাই চলো
বাংলাদেশী মোরা একই পরিচয়
এই গ্রাম শহরের পরিপূরক
ওই শহর গ্রামের পরিপূরক
তাই এসো ধরো হাত করি এ শপথ
আমরা সবাই মিলে ঝগড়া ঝাটি বন্ধ করি
শহর গ্রাম মিলে দেশটা গড়ি
হিংসা বিদ্বেষ বিভেদ ভুলি
ঐক্যে সুশৃংখল সমাজ গড়ি
ধর্মে বর্মে বিভেদ ভুলি
সবাই প্রাণের প্রিয় বাংলাদেশ গড়ি ॥